Tuesday, December 27, 2016

নয়াবাদ মসজিদ

দিনাজপুরে ঢেপা নদীর তীরে নয়াবাদ গ্রামে প্রায় দেড় বিঘা জমির উপর এই মসজিদটি। কান্তজির মন্দির থেকে ১.৭ কিলোমিটার দূরে মসজিদটি অবস্থিত।
সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের রাজত্বে ১৭৯৩ সালে এটি নির্মান করা হয়। সেসময় জমিদার ছিলেন রাজা বৈদ্যনাথ।

কান্তজির মন্দিরঃ পার্ট-২

বাংলার স্থাপত্যসমূহের মধ্যে বিখ্যাত এ মন্দির বিশিষ্টতার অন্যতম কারণ হচ্ছে পৌরাণিক কাহিনীসমূহ পোড়ামাটির অলঙ্করণে দেয়ালের গায়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বাংলাদেশের সর্বোৎকৃষ্ট টেরাকোটা শিল্পের নিদর্শন রয়েছে এ মন্দিরে।
ভিত্তি থেকে শুরু করে মন্দিরের চূড়া পর্যন্ত ভেতরে ও বাইরে দেয়ালের প্রতিটি অংশে নানাবিধ পৌরানিক বিষয়াবলি অত্যন্ত সুন্দর আর সুনিপুন ভাবে ফুঠিয়ে তোলা হয়েছে। এতে আছে মহাভারত, রামায়ণ এর বিস্তৃত

কান্তজির মন্দিরঃ পার্ট-১

ইটের তৈরি আঠারো শতকের মন্দির। দিনাজপুর শহর থেকে প্রায় ১৯ কি.মি উত্তরে ঢেপা নদীর পাড়ে এক শান্ত নিভৃতগ্রাম কান্তনগরে এ মন্দির অবস্থিত। বাংলার স্থাপত্যসমূহের মধ্যে বিখ্যাত এ মন্দির বিশিষ্টতার অন্যতম কারণ হচ্ছে পৌরাণিক কাহিনীসমূহ পোড়ামাটির অলঙ্করণে দেয়ালের গয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এ নবরত্ন বা ‘নয় শিখর’ যুক্ত হিন্দু মন্দিরের চূড়া থেকে আদি নয়টি শিখর ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের সর্বোৎকৃষ্ট টেরাকোটা শিল্পের নিদর্শন রয়েছে এ মন্দিরে

কান্তজির মন্দিরঃ পার্ট-৩

এটা কান্তজির মন্দিরের পাশে (সীমানা লাগোয়া) আরেকটা ভগ্নপ্রায় পুরনো মন্দির। এর চারপাশে খননকাজ চলছে প্রত্নতাত্তিক অধিদপ্তরের আন্ডারে (যদিও এই মুহুর্তে বন্ধ আছে)।
প্রচলিত ধারনা অনুযায়ী জানামতে, প্রধান মন্দিরের প্রায় একশগজ দূরে এক চূড়া বিশিষ্ট ছোট এ ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরে মহারাজ প্রাণনাথ ১৭০৪ সালে কৃষ্ণের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। এটি সাময়িকভাবে বৃন্দাবন থেকে আনা হয়েছিল। নবরত্ন মন্দির তৈরি সমাপ্ত হলে এ মূর্তি এখানে স্থানান্তর করা হয়। এটি এখন একটি পরিত্যক্ত দেবালয়।

রামসাগরঃ রামসাগর ন্যাশনাল পার্ক

বাংলাদেশে মানবসৃষ্ট সবচেয়ে বড় দীঘি 'রামসাগর' দিনাজপুর জেলার তেজপুর গ্রামে অবস্থিত। রাজা রামনাথ ১৭৫০-১৭৫৫ সালে এই দীঘিটি খনন করান। তাঁরই নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় 'রামসাগর'। রাজা রামনাথ স্মরনীয় হয়ে আছেন এই 'রামসাগর' ও 'কান্তজির মন্দির' নির্মাণের মাধ্যমে। তিনি ছিলেন দিনাজপুর রাজবংশের শ্রেষ্ঠতম নৃপতি।
২০০১ সালে রামসাগরকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। রামসাগর শুধু দ্রষ্টব্য ঐতিহাসিক কীর্তিই

আটকবর

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী স্থান হচ্ছে আটকবর।এই এলাকা ও এর নামকরণ মুক্তিযুদ্ধের সাথে ওতপ্রত ভাবে সম্পৃক্ত।
সীমান্তবর্তী জপুর গ্রামে শেল্টার নেয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে ১৯৭১ সালের ৫ই আগস্ট পার্শ্ববর্তী নাটুদাহ ও জগন্নাথপুর গ্রামে পাকসেনাদের সাথে সন্মুখযুদ্ধে আটজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন (পাকিস্তান মুসলিম লীগের দালাল রাজাকার কুবাদ খা'র পরিকল্পনা ও প্রতারনার ফাঁদের ফলাফল এই সম্মুখযুদ্ধ)। পাকবাহিনীর নির্দেশে

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতিবিজরিত আটচালা ঘর

"গাহি সাম্যের গান-
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান।
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি,
সব দেশে সব কালে ঘরে ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি..."
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থেকে যে পথটি কার্পাসডাঙ্গার ওপর দিয়ে মুজিবনগরের দিকে চলে গেছে, সেই পথে চন্দ্রবাঁশ এর কিছুটা আগে হাতে ডানে একটু ঢালূপথ পেরুলেই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের

আমঝুপি নীলকুঠিঃ পর্ব-৫

কুঠিবাড়ির পশ্চিম দিকে আমবাগান পেড়িয়ে যে জায়গা জুড়ে এই স্থাপনা অবস্থিত, পেছনের তফসিল অফিসের সামনের দেয়াল টুকুই আছে। অফিসের সামনে এই দালানটি মুলত কি তা জানা/বোঝা যায়নি! হতে পারে কারাগার, নয়তো কর্মচারীদের থাকার ঘর হিসেবে ব্যবহৃত হত! তা সে যাই হোক... সারিবদ্ধ কক্ষের এই একতলা দালানটি এখন শুধু পুরনো বাড়িতে ফটোশ্যুটের জন্যই ব্যবহৃত হচ্ছে!

আমঝুপি নীলকুঠি -পর্ব ৪ঃ অন্দরমহল

কাজলা নদীর তীরে কুঠিবাড়ির মূল ভবনটি সূদৃশ্য একতলা ভবন। এর অভ্যন্তরে রয়েছে মোট পনেরটি কক্ষ। স্তম্ভসারির ওপরে লাল টালির ছাদ-আচ্ছাদিত বারান্দা। তিনটি করে স্তম্ভ একত্রে স্থাপিত, যার ওপর সৃষ্ট ঢালু ছাদের বারান্দা আকর্ষণীয় রুপ লাভ করেছে। বারান্দা পার হয়ে প্রবেশ করতে হয় কুঠির অভ্যন্তরীণ কক্ষে।
ছোট-বড় কক্ষগুলির মধ্যে একটি কক্ষের মেঝে বিশেষ পদ্ধতিতে নির্মিত। আমঝুপি গ্রামে সাপের প্রাদুর্ভাব ছিল বলে জানা গেছে। কুঠিবাড়ি নির্মাণের সময় সাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কক্ষটির মেঝে মার্বেল পাথর দিয়ে অত্যন্ত মসৃণ এবং ঢালু যুক্ত করে তৈরি করা হয়েছিল। এমন ঢালু মেঝে তৈরি করার নেপথ্যে যেন সাপ প্রবেশ করতে না পারে সে কথাটি মনে রাখা হয়েছিল। এই ঘরেই ক্লাইভ ও মীরজাফরের মধ্যে ষড়যন্ত্রের মিটিংটি

আমঝুপি নীলকুঠি -পর্ব ৩ঃ কাজলা নদীর ঘাট

কুঠির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কাজলা নদী। কিন্তু নদীটি দেখলে মনে প্রসন্ন হয়ে যাবার বদলে খারাপ লাগবে! কচুরীপানায় ভরা নদীটিতে পানির দেখা নাই বললেই হয়। নদীর অনেকটা ভেতর পর্যন্ত কুঠির পুরনো ঘাটটা আগের রুপেই সংস্কার করা হয়েছে। একসময় এটি নাকি এক জমজমাট ঘাট ছিল।
কাজলা নদীকে কেন্দ্র করে মেহেরপুরের আমঝুপিতে ও গাংনী উপজেলার ভাটপাড়াতে ইংরেজরা কুঠি বাড়ি স্থাপন করে। কলকাতাসহ বিভিন্ন দেশে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল এ নদী। ব্রিটিশ শাসনামলে কাজলা নদী দিয়ে

আমঝুপি নীলকুঠি -পর্ব ২ঃ নীলগাছ

নীলকুঠি প্রাঙ্গনে এখনও আছে কিছু নীল গাছ। যা মনে করিয়ে দেয় ইতিহাস, মনে করিয়ে দেয় সেইসব শোষণ-নির্যাতনের কথা। শোনা যায়, আমঝুপিতে অসহনীয় নির্যাতনের পাশাপাশি নীল চাষে অবাধ্য চাষীর মাথার ওপর মাটি দিয়ে নীলের বীজ বপন করে গাছ বের না হওয়া পর্যন্ত নাকি দাঁড় করিয়ে রাখা হতো!!!! 
বড় বড় হাউজে নীল গাছ ভিজিয়ে রাখা হত। নীল গাছ পচা পানি জ্বালিয়ে তৈরি করা হতো নীল রঙ। এক বিঘা জমিতে আড়াই থেকে তিন কেজি নীল উৎপন্ন হতো,যা উৎপাদন করতে ব্যয় হতো ১২ থেকে ১৪ টাকা। অথচ চাষীরা পেতো মাত্র তিন থেকে চার টাকা!!

আমঝুপি নীলকুঠিঃ পর্ব ১

নীল চাষ অত্যাধিক লাভজনক হওয়ায় ১৭৯৬ সালে মেহেরপুর (তৎকালীন নদীয়া) অঞ্চলে নীল চাষ শুরু হয়। ১৮১৮ থেকে ১৮২০ সালের মধ্যবর্তী সময়ে মেহেরপুরর বেশ কয়েকটি স্থানে নীলকুঠি স্থাপিত হয়। তন্মধ্যে আমঝুপি, গাংনীর ভাটপাড়া, বামন্দি নীলকুঠি অন্যতম। ক্যারল ব্লুম নামে এক ইংরেজ ব্যক্তি তৎকালীন নদীয়া জেলা বর্তমানে মেহেরপুরের আমঝুপির কাজলা নদীর তীরে ৩ শ’ বিঘা জমির উপর নীলকুঠি স্থাপন করেন।
নীল তৈরি করতে প্রয়োজন হতো পানির। সেজন্য বাংলাদেশের নীলকুঠিগুলো গড়ে উঠেছিল কোনো না কোনো

মুজিবনগর -পর্ব ৩ঃ মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের মানচিত্র

স্মৃতি কমপ্লেক্সের ভেতরে বৃহদাকার বাংলাদেশের মানচিত্রের মাঝে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ১১ টি সেক্টরের বিভিন্ন ঘটনাচিত্র। তবে ১১ টি সেক্টর আলাদা আলাদা রঙ্গে রাঙ্গালেই বেশি ভাল হত! 

মুজিবনগর -পর্ব ২: মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সের ভাস্কর্য

মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের পাশাপাশি মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় ভাস্কর্য। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ, ঐতিহাসিক তেলিয়া পাড়া সম্মেলন, মুজিবনগর সরকারের শপথ অনুষ্ঠান, পাকবাহিনীর আত্নসমর্পণ, রাজাকার আল বদর, আল সামস এর সহযোগিতায় বাঙ্গালী নারী পুরুষের ওপর পাক হানাদার বাহিনীর নির্যাতনসহ খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ভাস্কর্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।

মুজিবনগর -পর্ব ১: মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ

মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে (১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল) বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার যেখানে গঠিত হয় সেখানে ১৯৮৭ সালে এই স্মৃতিসৌধটি গড়ে তোলা হয়েছে (মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে), যার স্থপতি তানভীর করিম। স্মৃতিসৌধের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে লাল মঞ্চ, ২৩টি স্তম্ভ, বুদ্ধিজীবীর খুলি, ৩০ লক্ষ শহীদ, রক্তের সাগর এবং ঐক্যবদ্ধ সাড়ে সাত কোটি জনতা।
স্মৃতিসৌধটি ২৩ টি ত্রিভূজাকৃতি দেয়ালের সমন্বয়ে গঠিত। ২৩ টি দেয়াল (১৯৪৭-১৯৭১) - এই ২৩ বছরের