মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে (১৯৭১ সালের ১৭ই এপ্রিল) বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার যেখানে গঠিত হয় সেখানে ১৯৮৭ সালে এই স্মৃতিসৌধটি গড়ে তোলা হয়েছে (মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে), যার স্থপতি তানভীর করিম। স্মৃতিসৌধের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে লাল মঞ্চ, ২৩টি স্তম্ভ, বুদ্ধিজীবীর খুলি, ৩০ লক্ষ শহীদ, রক্তের সাগর এবং ঐক্যবদ্ধ সাড়ে সাত কোটি জনতা।
স্মৃতিসৌধটি ২৩ টি ত্রিভূজাকৃতি দেয়ালের সমন্বয়ে গঠিত। ২৩ টি দেয়াল (১৯৪৭-১৯৭১) - এই ২৩ বছরের
স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। প্রতিটি দেয়ালের উচ্চতা ক্রমান্বয়ে ৯ ইঞ্চি করে বাড়ানো হয়েছে। যা দ্বারা বুঝানো হয়েছে বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার জন্য ৯ মাস ধরে যুদ্ধ করেছিল।
স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। প্রতিটি দেয়ালের উচ্চতা ক্রমান্বয়ে ৯ ইঞ্চি করে বাড়ানো হয়েছে। যা দ্বারা বুঝানো হয়েছে বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার জন্য ৯ মাস ধরে যুদ্ধ করেছিল।
দেয়ালগুলো উদিয়মান সূর্যের প্রতীক। প্রতিটি দেয়ালের ফাঁকে অসংখ্য ছিদ্র আছে যেগুলোকে পাকিস্থানি শাসক গোষ্ঠীর অত্যাচারের চিহ্ন হিসেবে প্রদর্শন করা হয়েছে। ৩০ লক্ষ শহীদের স্মৃতি স্মরণীয় করে রাখার জন্য স্মৃতিসৌধের মেঝেতে ৩০ লাখ নুরি পাথর বসানো হয়েছে।
স্বাধীনতার রক্তাক্ত সূর্যের মাধ্যমে লাল মঞ্চকে তুলে ধরা হয়েছে, সেখানে দাঁড়িয়েই অধ্যাপক ইউসুফ আলী স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেছিলেন। স্মৃতিসৌধের বেদীতে আরোহণের জন্য ১১টি সিঁড়ি রয়েছে। যা দ্বারা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে সমগ্র বাংলাদেশকে যে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়েছিল তা বুঝানো হয়েছে।
পুনশ্চঃ সন্ধ্যা আর ক্যামেরার চার্জ সব ছবি তুলতে দিলনা!! :(






No comments:
Post a Comment