নীলকুঠি প্রাঙ্গনে এখনও আছে কিছু নীল গাছ। যা মনে করিয়ে দেয় ইতিহাস, মনে করিয়ে দেয় সেইসব শোষণ-নির্যাতনের কথা। শোনা যায়, আমঝুপিতে অসহনীয় নির্যাতনের পাশাপাশি নীল চাষে অবাধ্য চাষীর মাথার ওপর মাটি দিয়ে নীলের বীজ বপন করে গাছ বের না হওয়া পর্যন্ত নাকি দাঁড় করিয়ে রাখা হতো!!!!
বড় বড় হাউজে নীল গাছ ভিজিয়ে রাখা হত। নীল গাছ পচা পানি জ্বালিয়ে তৈরি করা হতো নীল রঙ। এক বিঘা জমিতে আড়াই থেকে তিন কেজি নীল উৎপন্ন হতো,যা উৎপাদন করতে ব্যয় হতো ১২ থেকে ১৪ টাকা। অথচ চাষীরা পেতো মাত্র তিন থেকে চার টাকা!!
নীল তৈরি করতে প্রয়োজন হতো পানির। সেজন্য বাংলাদেশের নীলকুঠিগুলো গড়ে উঠেছিল কোনো না কোনো নদীর ধারে। আমঝুপি নীলকুঠিটিও তাই তৈরি হয়েছিল কাজলা নদীর তীরে।
No comments:
Post a Comment