Tuesday, December 27, 2016

আমঝুপি নীলকুঠি -পর্ব ৩ঃ কাজলা নদীর ঘাট

কুঠির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কাজলা নদী। কিন্তু নদীটি দেখলে মনে প্রসন্ন হয়ে যাবার বদলে খারাপ লাগবে! কচুরীপানায় ভরা নদীটিতে পানির দেখা নাই বললেই হয়। নদীর অনেকটা ভেতর পর্যন্ত কুঠির পুরনো ঘাটটা আগের রুপেই সংস্কার করা হয়েছে। একসময় এটি নাকি এক জমজমাট ঘাট ছিল।
কাজলা নদীকে কেন্দ্র করে মেহেরপুরের আমঝুপিতে ও গাংনী উপজেলার ভাটপাড়াতে ইংরেজরা কুঠি বাড়ি স্থাপন করে। কলকাতাসহ বিভিন্ন দেশে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল এ নদী। ব্রিটিশ শাসনামলে কাজলা নদী দিয়ে
জাহাজে করে মালামাল কলকাতাসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানো হতো। নদীর গভীরতা থাকায় বন্যা হতো না।
এক কালের মাথাভাঙ্গা নদীর শাখা কাজলা নদী ছিল টইটম্বুর। নদী ঘাটে এসে ভিড়তো বজরা! খরস্রোতা এ নদী এখন সরু খাল পরিণত হয়ে আবাদি জমিতে রূপান্তরিত হয়েছে। '৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর থেকে দুটি নদী খনন না করায় পলি জমে সরু হয়ে পড়েছে। সুযোগ বুঝে স্থানীয় ভূমি দস্যুরা নদী দখল করে নিয়ে শুরু করে চাষাবাদ। নদীর বুকে এখন আর কোনো পানির দেখা মেলে না। শুধু দেখা যায় সবুজের সমারোহ।





No comments:

Post a Comment