বাংলাদেশে মানবসৃষ্ট সবচেয়ে বড় দীঘি 'রামসাগর' দিনাজপুর জেলার তেজপুর গ্রামে অবস্থিত। রাজা রামনাথ ১৭৫০-১৭৫৫ সালে এই দীঘিটি খনন করান। তাঁরই নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় 'রামসাগর'। রাজা রামনাথ স্মরনীয় হয়ে আছেন এই 'রামসাগর' ও 'কান্তজির মন্দির' নির্মাণের মাধ্যমে। তিনি ছিলেন দিনাজপুর রাজবংশের শ্রেষ্ঠতম নৃপতি।
২০০১ সালে রামসাগরকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। রামসাগর শুধু দ্রষ্টব্য ঐতিহাসিক কীর্তিই
নয়- প্রাকৃতিক শোভা ও সৌন্দর্যের লীলাভূমিও। দীঘিটি প্রায় ৭৮ একর, সাথে চারপাশে পার্ক এরিয়া রয়েছে ৬৮.৫ একর। চারপাশে আছে সবুজে ঘেরা পার্ক, শিশু পার্ক, মিনি চিড়িয়াখানা, আমবাগান, ফুলের বাগান, ডাকবাংলো, আর নানা ধরনের উদ্ভিদের সমাহার। রামসাগরে একটি পাথরঘাটা (ঘাট) রয়েছে। যা প্রায় ৬ হাজার বর্গফুট। বেলে পাথরে তৈরী আয়তকারভাবে নির্মিত ঘাটটি দীঘির বিশালতার সঙ্গে বিশেষ সামঞ্জস্যপূর্ণ। শৌখিন মৎস্য শিকারীদের জন্য রামসাগর সুখের এক জায়গা!
নয়- প্রাকৃতিক শোভা ও সৌন্দর্যের লীলাভূমিও। দীঘিটি প্রায় ৭৮ একর, সাথে চারপাশে পার্ক এরিয়া রয়েছে ৬৮.৫ একর। চারপাশে আছে সবুজে ঘেরা পার্ক, শিশু পার্ক, মিনি চিড়িয়াখানা, আমবাগান, ফুলের বাগান, ডাকবাংলো, আর নানা ধরনের উদ্ভিদের সমাহার। রামসাগরে একটি পাথরঘাটা (ঘাট) রয়েছে। যা প্রায় ৬ হাজার বর্গফুট। বেলে পাথরে তৈরী আয়তকারভাবে নির্মিত ঘাটটি দীঘির বিশালতার সঙ্গে বিশেষ সামঞ্জস্যপূর্ণ। শৌখিন মৎস্য শিকারীদের জন্য রামসাগর সুখের এক জায়গা!
উপকথাঃ কথিত আছে, বহু বছর আগে রাজা রামনাথ দুর্ভিক্ষে রাজ্যের মানুষের পানির অভাব মেটানোর জন্য একটি দীঘি খনন করা শুরু করেন। কিন্তু যতই খনন করা হোক না কেন, দীঘি দিয়ে পানি উঠে না। কেউ কোনো কারণ বুঝতে পারছিল না। হঠাত্ একদিন রাজা স্বপ্ন দেখেন, দীঘির মাঝে একটি ছোট মন্দির স্থাপন করে রাজা পূজা করলে দীঘিতে পানি উঠবে। স্বপ্নমতে রাজা রামনাথ মন্দির স্থাপন করে পূজা করলে দীঘিতে পানি উঠে এবং রাজা রাম পানিতে ডুবে মারা যান। পরে তার স্মৃতিস্বরূপ এই স্থানের নাম হয়েছে ‘রামসাগর’।
সন্ধ্যার আগ দিয়ে যাওয়ায় পুরোটা ঘুরে দেখা সম্ভব হয়নি ভালভাবে। দ্রুত রামসাগরের চারপাশে এক চক্কর দিয়ে ও মিনি চিড়িয়াখানা টা দেখে খুশি থাকতে হয়ছে। ঘুরতে আসা পর্যটক/লোকজনের ভিড় ছিল বেশ। ভাল লেগেছে জায়গাটা।













No comments:
Post a Comment